বিশ্বরেকর্ড হয়েছিল টস করতে নামার সময়েই। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে টস করতে নেমেই সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট অধিনায়কের রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। এবার ম্যাচের দুই ইনিংসের মধ্যেই সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একটি রেকর্ড ভাগাভাগি করলেন আফগান লেগস্পিনার।
প্রথাগতভাবে লেগস্পিনার হলেও, ব্যাটটাও মন্দ করেন না রশিদ। যার প্রমাণ দিয়েছেন প্রথম ইনিংসেই। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে আফগানদের করা ৭১ রানের মধ্যে ৫১ রান একাই করেন রশিদ। যা ছিলো তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। এরপর বল হাতে নেমেই অসাধারণ এক রেকর্ড গড়েছেন রশিদ।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ফিফটির পর, বাংলাদেশের ইনিংসের ৮ উইকেটের মধ্যে ৪টিই নেন রশিদ। এক উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় তৃতীয় দিন সকাল পর্যন্ত। তবে সে অপেক্ষাটি দীর্ঘায়িত করেননি রশিদ। দিনের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলেই বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান নাইম হাসানকে বন্দী করেন লেগ বিফোরের ফাঁদে।
আর এতেই বিশ্বের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেয়ার রেকর্ড হয়ে যায় রশিদের। তার আগে এ কীর্তি দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি জ্যাকসন (অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৯০৫), পাকিস্তানের ইমরান খান (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৯৮২) ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, ২০০৯)।
স্ট্যানলি নিজের অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন ৮২ রানের ইনিংস। তার এ রেকর্ডের ৭৭ বছর পর ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ইমরান। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। এ দুজনের রেকর্ডই হয়েছে গত শতাব্দীতে।
চলতি শতাব্দীতে এ কীর্তি গড়া প্রথম ক্রিকেটার হলেন সাকিব। ২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার পর খেলেন ম্যাচজয়ী অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস। তার এ ঘটনার ১০ বছর পর চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে রেকর্ডটি গড়লেন রশিদ।
তবে রশিদের রেকর্ডে অনন্য ব্যাপারটি হলো আগের তিনজনের কেউই ম্যাচের দুই দলের প্রথম ইনিংসের মধ্যে রেকর্ডটি গড়তে পারেননি। কিন্তু সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়কের রেকর্ডগড়া রশিদ, ম্যাচের প্রথম দুই ইনিংসেই ফিফটির পর নিয়েছেন ৫ উইকেটও।